১৯৯৩ সালে “কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির মাধ্যমে তার রূপালি জগতে প্রবেশ। তখন তিনি ২২ বছরের টগবগে যুবক। প্রথম চলচ্চিত্র থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাগাতার সাফল্যের মধ্য দিয়ে তিনি ওঠে এসেছিলেন তারকালোকের শীর্ষে। তাকে বলা হতো_ সাফল্যের বরপুত্র। বাংলা চলচিত্রের একটি দুর্যোগকালীন সময়ে সালমানশাহের আগমন ঘটে। সালমানের সাথে শাবনুরের প্রথম ছবি মুক্তির পরই দর্শক সালমান শাবনুর জুটিকে বেশ ভালভাবেই গ্রহণ করে। যার ফলে পর পর সালমান শাবনুর জুটির মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো হিট থেকে সুপার হিট ছবির লিস্টে চলে আসতে থাকে।সালমান শাবনুর জুটির ব্যবসা সফল ছবিগুলোর মধ্যে তোমাকে চাই,জীবন সংসার,সপ্নের ঠিকানা,আনন্দ অশ্র“,সপ্নের নায়ক উল্লেখযোগ্য । সালমান তার অভিনয় জীবনে অনেক নায়িকার সাথে অভিনয় করলেও তার সফল জুটি গড়ে ওঠে শাবনুরের সাথে।চলচিত্রে আগমনের পূর্বে সালমানশাহ্ মডেলিং করেছিলেন।তিনি টিভি নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। তার মূল নামটি ছিল শাহরিয়ার কবির ইমন যা তার চলচিত্রে পদার্পনের পরে পরিবর্তীত হয়।তিনি যেমন ছিলেন সুদর্শন তেমন ছিল তার অভিনয় প্রতিভা।
আজব হলেও সত্য সালমান শাহ্ জন্ম আর মৃত্য দিবস সেপ্টেম্বর মাসে ।
জন্মস্থান : সিলেট
জন্ম তারিখ : ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
শেষ ছবি : বুকের ভেতর আগুন [১৯৯৭]
শখ : দাবা ও ক্রিকেট খেলা,
প্রিয় গায়ক: হেমন্ত, আজম খান,
প্রিয় নায়ক : অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খান,
প্রিয় রং : কালো,
প্রিয় খাবার : আইসক্রিম ও ফাস্টফুড,
প্রিয় পোশাক : জিন্স আর টি শার্ট
প্লে-ব্যাক : প্রেমযুদ্ধ এবং ঋণ শোধ।
পুরস্কার : ইয়ুথ অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন তাকে ১৯৯৫ সালের শ্রেষ্ঠ নায়ক হিসেবে পুরস্কৃত করে।
মৃত্যু : ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬।
তার অভিনিত ছায়াছবি সমূহঃ| ছবির নাম | ছবি মুক্তির তারিখ |
| কেয়ামত থেকে কেয়ামত | ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ |
| তুমি আমার | ১৯৯৪ সালের ২২ মে |
| অন্তরে অন্তরে | ১৯৯৪ সালের ১০ জুন |
| সুজন সখী | ১৯৯৪ সালের ১২ আগস্ট |
| বিক্ষোভ | ১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর |
| স্নেহ | ১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর |
| প্রেমশক্তি | ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর |
| কন্যাদান | ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ |
| দেনমোহর | ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ |
| স্বপ্নের ঠিকানা | ১৯৯৫ সালের ১১ মে |
| আঞ্জুমান | ১৯৯৫ সালের ১৮ আগস্ট |
| মহামিলন | ১৯৯৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর |
| আশা ভালোবাসা | ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর |
| বিচার হবে | ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি |
| এই ঘর এই সংসার | ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল |
| প্রিয়জন | ১৯৯৬ সালের ১৪ জুন |
| তোমাকে চাই | ১৯৯৬ সালের ২১ জুন |
| স্বপ্নের পৃথিবী | ১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই |
| জীবন সংসার | ১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর |
| মায়ের অধিকার | ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর |
| চাওয়া থেকে পাওয়া | ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর |
| প্রেম পিয়সী | ১৯৯৭ সালের ১৮ এপ্রিল |
| স্বপ্নের নায়ক | ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই |
| শুধু তুমি | ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই |
| আনন্দ অশ্রু | ১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট |
| বুকের ভেতর আগুন | ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর |
| সত্যের মৃত্যু নেই | ১৩-০৯-৯৬ |
সালমান শাহ’র অটোগ্রাফ
তার
চলচিত্রে আগমনের সাথে সাথে বাংলা চলচিত্র শিল্প একটি শক্ত অবস্থানে
দাড়িয়ে যায়।কিন্তু বাংলা চলচিত্র জগতের এই যুবরাজ তার রাজত্যের সম্পূর্ণ
অধিকার গ্রহণ করবার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর
বাংলা চলচিত্রের হার্টথ্রুব নায়ক সালমান শাহের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর
কারন আজ অবধি প্রশ্নবিদ্ধ। তার অকাল প্রয়াণে বাংলা চলচিত্র যে ক্ষতির
সম্মুখিন হয়েছে তা পুরন হবার নয়।আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে। ভালো আছি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
[youtube=http://www.youtube.com/watch?v=PjBrP4swJAw]
আজ এই মহান নায়ক এর মৃত্যুবার্ষিকী । ১৯৯৬ সালে আমি অনেক ছোট ছিলাম তখন আমি সালমান শাহ্ ছাড়া আর অন্য কোন নায়ক কে চিনতাম না ,
যেদিন তিনি মারা যান সেদিন বিটিভি রাত ৮ টার বাংলা সংবাদে তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনে আমি সেই বয়সে আবেগে কেঁদেছিলাম , আর কি আসবে না আমাদের মাজে নায়ক সালমান । আমি মনে করি তিনি আত্মহত্যা করেন নেই বরং তাকে হত্যা করা হয়েছে । মহান আল্লাহ্ কাছে প্রাথনা করি তাকে যেন আল্লাহ্ জান্নাত বাসি করেন আমিন ।চ’লে গেলে মনে হয় তুমি এসেছিলে,
চ’লে গেলে মনে হয় তুমি সমস্ত ভুবনে আছো ।
চ’লে গিয়ে তুমি আরো কাছে রয়েছো,
চ’লে গিয়ে তুমি সত্যিই আমাদের সমস্ত ভুবন জুড়ে ” আছো…!;’(
Categories: নায়ক



0 comments:
Post a Comment