http://www.thecivilian.co.nz/wp-content/uploads/2013/03/Bear-Grylls-bear-grylls-33383519-1024-768.pngআমাদের এই বিশাল পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা জন্মের থেকে অনেক জ্ঞানের বিস্ময়কর মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করেন ।আবার অনেক মানুষ আছে যারা জন্মের পর বস্মকর মানুষ হয় । আজ আমি আপনাদের কাছে এমনি এক বিস্ময়কর মানুষের কাহিনী শুনাবো যে কিনা পৃথিবীর যে কোন দেশে যেকোন জায়গায় নিজেকে তিরি করে নিতে পারেন এবং তিনি মাত্র 23 বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন। এর নাম বিয়ার গিলস ।আমরা অনেকেই এর নাম শুনেছি ।উনার ফিল্ম man vs wild  সব মানুষের হ্নদয়ে নজর কাটে ।আসুন তাহলে জেনে নিই এই বিস্ময়কর মানুষের ইতিকথা ।

এডওয়ার্ড মাইকেল বিয়ার গ্রিল্‌স (জন্ম ৭ জুন ১৯৭৪) একজন দুঃসাহসী ইংলিশ অভিযাত্রিক, লেখক এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। তিনি তাঁর টেলিভিশন সিরিজ ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড-এর কারণে সর্বাধিক পরিচিত। এই টিভি সিরিজটি যুক্তরাজ্যে বর্ন সারভাইভর নামে পরিচিত। ২০০৯-এর জুনে বিয়ার গ্রিল্‌স ৩৫ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ স্কাউট প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
ব্যক্তিগত জীবন:
বিয়ার গ্রিলস উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডোনাঘাডি এলাকায় ৪ বছর বয়স অবধি শৈশব অতিবাহিত করেছেন। এরপর তিনি তাঁর পরিবারের সাথে বেমব্রিজ অঞ্চলে যান।কনজারভেটিভ পার্টির মরহুম রাজনীতিবিদ স্যার মাইকেল গ্রিলস ছিলেন বিয়ারের পিতা। বিয়ারের মা হলেন লেডি গ্রিলস যার মা প্যাট্রিসিয়া ফোর্ড ছিলেন পেশায় একজন রাজনীতিবিদ এবং সংসদ সদস্য। বিয়ার গ্রিলসের একজন বড় বোন রয়েছেন, তাঁর নাম লারা ফাউসেট। লারা পেশায় একজন টেনিস কোচ। লারাই বিয়ার গ্রিলসের “বিয়ার” নামটি দেন যখন তাঁর বয়স কেবল এক সপ্তাহ।
গ্রিলস ইটন হাউস, লুডগ্রুভ স্কুল, ইটন কলেজে শিক্ষা লাভ করেছেন। ইটন কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি সেখানকার প্রথম পর্বতারোহণ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। অতি অল্প বয়সেই গ্রিলস তাঁর বাবার কাছ থেকে পর্বতারোহণ এবং নৌচালনা শিখেছেন। তাঁর বাবা নৌচালনায় দক্ষ ছিলেন। কৈশোরেই গ্রিলস স্কাইডাইভিং এবং কারাতে শেখেন। তিনি যোগ ও নিনজৎসু চর্চা করেন। আট বছর বয়সে তিনি কাব স্কাউট হন। গ্রিলস ইংরেজি, স্প্যানীয় এবং ফরাসি ভাষা জানেন। তিনি ধর্মে একজন খ্রিস্টান, এবং তিনি ধর্মবিশ্বাসকে তাঁর জীবনের “মেরুদন্ড” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বিয়ার গ্রিলস ২০০০ সালে সারা গ্রিলসকে বিয়ে করেন। তাঁদের তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। তাঁদের নাম জেস, মার্মাডিউক এবং হাক্‌লবেরি।
সামরিক বাহিনীতে চাকরি :
বিদ্যালয় জীবন শেষ হবার পর বিয়ার গ্রিলস ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার মনঃস্থ করেন। এসময় তিনি সিক্কিম অঞ্চলে হিমালয়ে হাইকিং করেন। গ্রিলস ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ইউনাইটেড কিংডম স্পেশাল ফোর্স রিজার্ভে কাজ করেন। স্পেশাল এয়ার সার্ভিসে তিনি ১৯৯৬ পর্যন্ত তিন বছর কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে জাম্বিয়ায় গ্রিলস একটি প্যারাশুট দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। এসময় গ্রিলসের চিরতরে হাঁটার ক্ষমতা বন্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয়। পরবর্তী বারো মাস গ্রিলস মিলিটারির সকল কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেন। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং তাঁর শৈশবের লালিত স্বপ্ন মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের নেশায় উদ্বেলিত হন। মানব সেবায় অবদান রাখার জন্যে ২০০৪ সালে গ্রিলসকে সম্মানসূচক পদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডারে পদোন্নতি দেয়া হয়।
büc &n`yএভারেস্ট জয়:
১৯৯৮-এর ১৬ মে বিয়ার গ্রিলস তাঁর শৈশবের লালিত স্বপ্ন মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। আট বছর বয়সে যখন তাঁর বাবা তাকে এভারেস্টের একটি ছবি উপহার দেন, তখনই গ্রিলসের মনে এভারেস্ট জয় করার ইচ্ছা জাগে। এভারেস্ট জয়ের মাধ্যমে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ হিসেবে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড করেন। তাঁর প্যারাশুট দুর্ঘটনার আঠারো মাস পরেই তিনি এভারেস্টে আরোহণ করেন। জেমস অ্যালেন নামের একজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক ২২ বছর বয়সে একটি দলের সাথে এভারেস্ট জয় করেন।মাত্র ১৯ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করে রব গন্টলেট নামের এক ব্রিটিশ তরুণ গ্রিলসের রেকর্ড ভেঙে ফেলেন।
গণমাধ্যম :
বিয়ার গ্রিলস টেলিভিশন জগতে প্রবেশ করেন একটি ডিওডোরেন্টের বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত সেনাবাহিনীর মাদক-বিরোধী টিভি ক্যাম্পেইনেও বিয়ার গ্রিলস উপস্থিত হন। এছাড়া বিশ্বখ্যাত হ্যারডস দোকানের বিজ্ঞাপনেও গ্রিলস অংশগ্রহণ করেন। গ্রিলস বেশ কিছু টেলিভিশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রাইডে নাইট উইথ জোনাথন রোজ, অপরাহ উইনফ্রে শো, দ্য টুনাইট শো উইথ যে লেনো, দ্য লেট শো ডেভিড লেটারম্যান ইত্যাদি। গ্রিলস ইন্টারনেটে পাঁচ পর্বের একটি সিরিজে উপস্থিত হন যেখানে তাকে নগর-জীবনে টিকে থাকার কৌশল দেখাতে হয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্স গ্রিলসকে তাদের ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটানস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। বিয়ারের প্রথম রচিত বইয়ের নাম ফেসিং আপ। এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান পায়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে দ্য কিড হু ক্লাইম্বড এভারেস্ট নামে প্রকাশিত হয়। এভারেস্টে তাঁর অভিযান এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত দ্বিতীয় বই ফেসিং দ্য ফ্রোজেন অশেন ২০০৪ সালে উইলিয়াম হিল স্পোর্টস বুক অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। গ্রিলসের তৃতীয় বই বর্ন সারভাইভর: বিয়ার গ্রিলস; এটি পৃথিবীর বেশ কিছু প্রতিকূল পরিবেশে তাঁর টিকে থাকার অভিজ্ঞতা অবলম্বনে রচিত হয়েছে। এটি সানডে টাইমস টপ টেন বেস্ট সেলার তালিকায় স্থান পায়। এছাড়া তিনি বিয়ার গ্রিলস আউটডোর অ্যাডভেঞ্চার নামে একটি বই লিখেন। ২০১১ সালে বিয়ার গ্রিলস আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। এর নাম মাড, সোয়েট অ্যান্ড টিয়ারস: দ্য অটোবায়োগ্রাফি। দুর্গম স্থানে টিকে থাকার কৌশলের উপর শিশু-কিশোরদের জন্য তিনি বেশ কটি বই রচনা করেন। এগুলো হল মিশন সারভাইভাল: গোল্ড অফ দ্য গডস, মিশন সারভাইভাল: ওয়ে অফ দ্য ওলফ, মিশন সারভাইভাল: স্যান্ডস অফ দ্য স্করপিয়ন, মিশন সারভাইভাল: ট্র্যাক্স অফ দ্য টাইগার।
এস্কেপ টু দ্য লিজিওন :
২০০৫ সালে বিয়ার গ্রিলস এবং তাঁর এগারো সহযোগীর ফ্রেঞ্চ ফরেন লিজিওনের আওতায় সাহারা মরুভূমিতে প্রশিক্ষণের উপর এস্কেপ টু দ্য লিজিওন নামে একটি টেলিভিশন শো নির্মিত হয়। এটি যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। এছাড়া ২০০৮-এও এটি যুক্তরাজ্যের হিস্টোরি চ্যানেলে পুনঃপ্রচারিত হয়।
বর্ন সারভাইভর/ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড :
যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর-এ বর্ন সারভাইভর: বিয়ার গ্রিলস নামে গ্রিলস একটি প্রোগ্রাম করে থাকেন। এটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড নামে প্রচারিত হয়। এছাড়া ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশীটি আল্টিমেট সারভাইভাল নামে প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দেখানো হয়, বিয়ার গ্রিলসকে কোন প্রতিকূল পরিবেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই পরিবেশে প্রতিকূলতার মধ্যে কীভাবে বে৬চে থাকাওতে হয় তা গ্রিলস প্রদর্শন করে। ২০০৬ সালে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড শুরু হয় এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন প্রোগ্রামে পরিণত হয়। বিশ্বজুড়ে ১.২ বিলিয়ন মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখে থাকে। এই অনুষ্ঠানে দেখায় বিয়ার গ্রিলস সুউচ্চ পর্বত-শৃঙ্গে আরোহণ করছে, হেলিকপ্টার থেকে প্যারাশুট নিয়ে নামছে, প্যারাগ্লাইডিং করছে, বরফ-আবৃত পাহাড়ে উঠছে, গভীর অরণ্যের আগুনের মধ্য দিয়ে দৌড়াচ্ছে, সাপ পোকা-মাকড় কীট-পতঙ্গ খাচ্ছে, মরুভূমির কড়া রোদ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রস্রাব-সিক্ত টিশার্ট দিয়ে মাথা আবৃত করছে, সাপের খোলসের মধ্যে প্রস্রাব জমিয়ে রেখে পান করছে, হাতির মল নিঃসৃত তরল পান করছে, হরিণের বিষ্ঠা খাচ্ছে, কুমিরের সাথে যুদ্ধ করছে, সীলের চামড়াকে পোশাকের মত বানিয়ে সাঁতারের সময় হ্রদের হিমশীতল পানি থেকে পরিত্রাণের জন্য তা পরিধান করছে, জলপ্রপাত থেকে ঝাপিয়ে পড়ছে, বাঁশ দিয়ে ভেলা বানিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে, সাগরের তলদেশে কোন প্রকার যন্ত্রের সাহাযে ছাড়াই মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী শিকার করে খাচ্ছে, প্রতিকূল পরিবেশে আশ্রয় হিসেবে স্থানীয় হিনিস দিয়ে থাকার জায়গা বানাচ্ছে এবং দুর্গম পরিবেশে টিকে থাকার জন্য এমনি আরো উপায় ও কৌশল সে অবলম্বন করছে।
২০১২ এর মার্চে ডিসকভারি চ্যানেল বিয়ার গ্রিলসের সাথে চুক্তি-সংক্রান্ত মতৈক্যের কারণে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড অনুষ্ঠান নির্মাণ বন্ধ করে।
তথ্যসুত্র: http://bn.wikipedia.org/wiki/বিয়ার_গ্রিলস
11:03 PM Saiful
http://www.thecivilian.co.nz/wp-content/uploads/2013/03/Bear-Grylls-bear-grylls-33383519-1024-768.pngআমাদের এই বিশাল পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা জন্মের থেকে অনেক জ্ঞানের বিস্ময়কর মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করেন ।আবার অনেক মানুষ আছে যারা জন্মের পর বস্মকর মানুষ হয় । আজ আমি আপনাদের কাছে এমনি এক বিস্ময়কর মানুষের কাহিনী শুনাবো যে কিনা পৃথিবীর যে কোন দেশে যেকোন জায়গায় নিজেকে তিরি করে নিতে পারেন এবং তিনি মাত্র 23 বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন। এর নাম বিয়ার গিলস ।আমরা অনেকেই এর নাম শুনেছি ।উনার ফিল্ম man vs wild  সব মানুষের হ্নদয়ে নজর কাটে ।আসুন তাহলে জেনে নিই এই বিস্ময়কর মানুষের ইতিকথা ।

এডওয়ার্ড মাইকেল বিয়ার গ্রিল্‌স (জন্ম ৭ জুন ১৯৭৪) একজন দুঃসাহসী ইংলিশ অভিযাত্রিক, লেখক এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। তিনি তাঁর টেলিভিশন সিরিজ ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড-এর কারণে সর্বাধিক পরিচিত। এই টিভি সিরিজটি যুক্তরাজ্যে বর্ন সারভাইভর নামে পরিচিত। ২০০৯-এর জুনে বিয়ার গ্রিল্‌স ৩৫ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ স্কাউট প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
ব্যক্তিগত জীবন:
বিয়ার গ্রিলস উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডোনাঘাডি এলাকায় ৪ বছর বয়স অবধি শৈশব অতিবাহিত করেছেন। এরপর তিনি তাঁর পরিবারের সাথে বেমব্রিজ অঞ্চলে যান।কনজারভেটিভ পার্টির মরহুম রাজনীতিবিদ স্যার মাইকেল গ্রিলস ছিলেন বিয়ারের পিতা। বিয়ারের মা হলেন লেডি গ্রিলস যার মা প্যাট্রিসিয়া ফোর্ড ছিলেন পেশায় একজন রাজনীতিবিদ এবং সংসদ সদস্য। বিয়ার গ্রিলসের একজন বড় বোন রয়েছেন, তাঁর নাম লারা ফাউসেট। লারা পেশায় একজন টেনিস কোচ। লারাই বিয়ার গ্রিলসের “বিয়ার” নামটি দেন যখন তাঁর বয়স কেবল এক সপ্তাহ।
গ্রিলস ইটন হাউস, লুডগ্রুভ স্কুল, ইটন কলেজে শিক্ষা লাভ করেছেন। ইটন কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি সেখানকার প্রথম পর্বতারোহণ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। অতি অল্প বয়সেই গ্রিলস তাঁর বাবার কাছ থেকে পর্বতারোহণ এবং নৌচালনা শিখেছেন। তাঁর বাবা নৌচালনায় দক্ষ ছিলেন। কৈশোরেই গ্রিলস স্কাইডাইভিং এবং কারাতে শেখেন। তিনি যোগ ও নিনজৎসু চর্চা করেন। আট বছর বয়সে তিনি কাব স্কাউট হন। গ্রিলস ইংরেজি, স্প্যানীয় এবং ফরাসি ভাষা জানেন। তিনি ধর্মে একজন খ্রিস্টান, এবং তিনি ধর্মবিশ্বাসকে তাঁর জীবনের “মেরুদন্ড” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বিয়ার গ্রিলস ২০০০ সালে সারা গ্রিলসকে বিয়ে করেন। তাঁদের তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। তাঁদের নাম জেস, মার্মাডিউক এবং হাক্‌লবেরি।
সামরিক বাহিনীতে চাকরি :
বিদ্যালয় জীবন শেষ হবার পর বিয়ার গ্রিলস ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার মনঃস্থ করেন। এসময় তিনি সিক্কিম অঞ্চলে হিমালয়ে হাইকিং করেন। গ্রিলস ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ইউনাইটেড কিংডম স্পেশাল ফোর্স রিজার্ভে কাজ করেন। স্পেশাল এয়ার সার্ভিসে তিনি ১৯৯৬ পর্যন্ত তিন বছর কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে জাম্বিয়ায় গ্রিলস একটি প্যারাশুট দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। এসময় গ্রিলসের চিরতরে হাঁটার ক্ষমতা বন্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয়। পরবর্তী বারো মাস গ্রিলস মিলিটারির সকল কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেন। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং তাঁর শৈশবের লালিত স্বপ্ন মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের নেশায় উদ্বেলিত হন। মানব সেবায় অবদান রাখার জন্যে ২০০৪ সালে গ্রিলসকে সম্মানসূচক পদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডারে পদোন্নতি দেয়া হয়।
büc &n`yএভারেস্ট জয়:
১৯৯৮-এর ১৬ মে বিয়ার গ্রিলস তাঁর শৈশবের লালিত স্বপ্ন মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। আট বছর বয়সে যখন তাঁর বাবা তাকে এভারেস্টের একটি ছবি উপহার দেন, তখনই গ্রিলসের মনে এভারেস্ট জয় করার ইচ্ছা জাগে। এভারেস্ট জয়ের মাধ্যমে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ হিসেবে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড করেন। তাঁর প্যারাশুট দুর্ঘটনার আঠারো মাস পরেই তিনি এভারেস্টে আরোহণ করেন। জেমস অ্যালেন নামের একজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক ২২ বছর বয়সে একটি দলের সাথে এভারেস্ট জয় করেন।মাত্র ১৯ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করে রব গন্টলেট নামের এক ব্রিটিশ তরুণ গ্রিলসের রেকর্ড ভেঙে ফেলেন।
গণমাধ্যম :
বিয়ার গ্রিলস টেলিভিশন জগতে প্রবেশ করেন একটি ডিওডোরেন্টের বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত সেনাবাহিনীর মাদক-বিরোধী টিভি ক্যাম্পেইনেও বিয়ার গ্রিলস উপস্থিত হন। এছাড়া বিশ্বখ্যাত হ্যারডস দোকানের বিজ্ঞাপনেও গ্রিলস অংশগ্রহণ করেন। গ্রিলস বেশ কিছু টেলিভিশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রাইডে নাইট উইথ জোনাথন রোজ, অপরাহ উইনফ্রে শো, দ্য টুনাইট শো উইথ যে লেনো, দ্য লেট শো ডেভিড লেটারম্যান ইত্যাদি। গ্রিলস ইন্টারনেটে পাঁচ পর্বের একটি সিরিজে উপস্থিত হন যেখানে তাকে নগর-জীবনে টিকে থাকার কৌশল দেখাতে হয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্স গ্রিলসকে তাদের ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটানস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। বিয়ারের প্রথম রচিত বইয়ের নাম ফেসিং আপ। এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান পায়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে দ্য কিড হু ক্লাইম্বড এভারেস্ট নামে প্রকাশিত হয়। এভারেস্টে তাঁর অভিযান এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত দ্বিতীয় বই ফেসিং দ্য ফ্রোজেন অশেন ২০০৪ সালে উইলিয়াম হিল স্পোর্টস বুক অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। গ্রিলসের তৃতীয় বই বর্ন সারভাইভর: বিয়ার গ্রিলস; এটি পৃথিবীর বেশ কিছু প্রতিকূল পরিবেশে তাঁর টিকে থাকার অভিজ্ঞতা অবলম্বনে রচিত হয়েছে। এটি সানডে টাইমস টপ টেন বেস্ট সেলার তালিকায় স্থান পায়। এছাড়া তিনি বিয়ার গ্রিলস আউটডোর অ্যাডভেঞ্চার নামে একটি বই লিখেন। ২০১১ সালে বিয়ার গ্রিলস আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। এর নাম মাড, সোয়েট অ্যান্ড টিয়ারস: দ্য অটোবায়োগ্রাফি। দুর্গম স্থানে টিকে থাকার কৌশলের উপর শিশু-কিশোরদের জন্য তিনি বেশ কটি বই রচনা করেন। এগুলো হল মিশন সারভাইভাল: গোল্ড অফ দ্য গডস, মিশন সারভাইভাল: ওয়ে অফ দ্য ওলফ, মিশন সারভাইভাল: স্যান্ডস অফ দ্য স্করপিয়ন, মিশন সারভাইভাল: ট্র্যাক্স অফ দ্য টাইগার।
এস্কেপ টু দ্য লিজিওন :
২০০৫ সালে বিয়ার গ্রিলস এবং তাঁর এগারো সহযোগীর ফ্রেঞ্চ ফরেন লিজিওনের আওতায় সাহারা মরুভূমিতে প্রশিক্ষণের উপর এস্কেপ টু দ্য লিজিওন নামে একটি টেলিভিশন শো নির্মিত হয়। এটি যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। এছাড়া ২০০৮-এও এটি যুক্তরাজ্যের হিস্টোরি চ্যানেলে পুনঃপ্রচারিত হয়।
বর্ন সারভাইভর/ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড :
যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর-এ বর্ন সারভাইভর: বিয়ার গ্রিলস নামে গ্রিলস একটি প্রোগ্রাম করে থাকেন। এটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড নামে প্রচারিত হয়। এছাড়া ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশীটি আল্টিমেট সারভাইভাল নামে প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দেখানো হয়, বিয়ার গ্রিলসকে কোন প্রতিকূল পরিবেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই পরিবেশে প্রতিকূলতার মধ্যে কীভাবে বে৬চে থাকাওতে হয় তা গ্রিলস প্রদর্শন করে। ২০০৬ সালে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড শুরু হয় এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন প্রোগ্রামে পরিণত হয়। বিশ্বজুড়ে ১.২ বিলিয়ন মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখে থাকে। এই অনুষ্ঠানে দেখায় বিয়ার গ্রিলস সুউচ্চ পর্বত-শৃঙ্গে আরোহণ করছে, হেলিকপ্টার থেকে প্যারাশুট নিয়ে নামছে, প্যারাগ্লাইডিং করছে, বরফ-আবৃত পাহাড়ে উঠছে, গভীর অরণ্যের আগুনের মধ্য দিয়ে দৌড়াচ্ছে, সাপ পোকা-মাকড় কীট-পতঙ্গ খাচ্ছে, মরুভূমির কড়া রোদ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রস্রাব-সিক্ত টিশার্ট দিয়ে মাথা আবৃত করছে, সাপের খোলসের মধ্যে প্রস্রাব জমিয়ে রেখে পান করছে, হাতির মল নিঃসৃত তরল পান করছে, হরিণের বিষ্ঠা খাচ্ছে, কুমিরের সাথে যুদ্ধ করছে, সীলের চামড়াকে পোশাকের মত বানিয়ে সাঁতারের সময় হ্রদের হিমশীতল পানি থেকে পরিত্রাণের জন্য তা পরিধান করছে, জলপ্রপাত থেকে ঝাপিয়ে পড়ছে, বাঁশ দিয়ে ভেলা বানিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে, সাগরের তলদেশে কোন প্রকার যন্ত্রের সাহাযে ছাড়াই মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী শিকার করে খাচ্ছে, প্রতিকূল পরিবেশে আশ্রয় হিসেবে স্থানীয় হিনিস দিয়ে থাকার জায়গা বানাচ্ছে এবং দুর্গম পরিবেশে টিকে থাকার জন্য এমনি আরো উপায় ও কৌশল সে অবলম্বন করছে।
২০১২ এর মার্চে ডিসকভারি চ্যানেল বিয়ার গ্রিলসের সাথে চুক্তি-সংক্রান্ত মতৈক্যের কারণে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড অনুষ্ঠান নির্মাণ বন্ধ করে।
তথ্যসুত্র: http://bn.wikipedia.org/wiki/বিয়ার_গ্রিলস
http://10-most.com/wp-content/uploads/2012/10/alone-lonely-haunted-place.jpg
জীন-ভূতের ভয় সবাই করে। এমন কায়কে পাওয়া যাবে না যে জীবনে ভয় পায়নি!
কখনো এমন জায়গায় গিয়েছেন যেখানে গেলে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায়, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে? অথবা ভয়ে আপনি থর থর করে কাঁপছেন! গ্রাম্য এলাকার বাঁশ বাগান, বেত বাগান, ঝোপ-ঝাড়, পুরোনো বাড়ি গুলোতে একা একা রাতের অন্ধকারে হাঁটলে এরকম অনুভুতি হতে পারে।
 আমাদের বাড়ির পিছনে বাঁশের, বেতের, গাছগাছালির অনেক ঝোপঝাড়। ওখানে জীন- ভুত থাকে এরকম অনেক গল্প মুরব্বীদের কাছ থেকে অনেক শুনেছি। তার সাথে থাকে সন্ধ্যার পর থেকে শেয়ালের হাঁক, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, পেঁচার ডাক আরো কত কি!পুরাই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। সন্ধ্যা হওয়ার পরে ওখানে কেউ যাওয়া দূরে থাক, চোখ দিতেও ভয় লাগে! ভাগ্যিস বিদ্যুৎ থাকে তা না হলে আরো ভয়ঙ্কর লাগতো!এই তো গেলো আমাদের বাড়ির আঙ্গিনা। পৃথিবীতে এরকম অনেক বিখ্যাত ভয়ঙ্কর জায়গা রয়েছে, তার মধ্য থেকে ১০ টি বেছে নিয়ে সেগুলোর  কিছু বর্ননা নিচে তুলে ধরলাম-
১. বোরলে রেকটরি
colour borley ruins
বোরলে রেকটরি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা হিসেবে পরিচিত। এটি যুক্তরাজ্যের বোরলে গ্রামে অবস্থিত। ১৮৬৩ সালে Reverend Henry Dawson Ellis Bull এর জন্য এটি নির্মান করা হয়।
এখানে নুন কে হাটতে দেখা যায় যাকে প্রেট্রল মেরে মেরে ফেলা হয়েছিল। পুরোনো একটি গল্প প্রচলিত আছে যে নুন বোরলে সম্প্রদায়ের এক সন্ন্যাসীনীর প্রেমে পড়েন। দুজনে চেয়েছিলেন পালিয়ে যেতে কিন্তু ধরা পড়ে যায়।  সন্ন্যাসীনীকে বধ করা হয় আর নুনকে পুড়িয়ে মারা হয় এই ভবনে।
২.স্ট্যানলি হোটেল
colour borley ruins
সারা পৃথিবীতে ভূতের অসংখ্য গল্প রয়েছে।  স্টিফেন কিং এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত The Shining  হরর মুভি দেখলে বুঝা যায় । বইটি লেখার ক্ষেত্রে তাঁকে অনুপ্রানিত করেছিল স্ট্যানলি হোটেল যেটি কলোরাডোর এস্টেস পার্কে অবস্থিত। তিনি যখন এই হোটেলের ২১৭ নাম্বার রুমে অবস্থান করেন তখন নিজেই অনেক ভৌতিক ঘটনা দেখেন। তিনি শুনতে পেতেন ভূতের ছেলেরা পাশের রুমে খেলা করছে! অনেক আত্মা ওখানে ঘুরে বেড়াতো। যখন গেস্ট আসতো তারা দেখতে পেত পিয়ানোর কীগুলো নিজে নিজে মুভ হচ্ছে, মিউজিক বাজছে। এই সকল ভৌতিক ঘটনা যারা দেখতো তাদের জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
৩. টাওয়ার অব লন্ডন
colour borley ruins
ছবিটি অনেক বিখ্যাত ভৌতিক স্থান টাওয়ার অব লন্ডন এর। ১৫৩৬ সালে হেনরি VIII এর একজন স্ত্রীকে এই টাওয়ারে শিরচ্ছেদ করা হয়। ঐ স্ত্রীলোকের আত্মাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত, মাঝে মাঝে তিনি তার খণ্ডিত মাথা হাতে নিয়ে টাওয়ার গ্রীন এবং টাওয়ার চাপেল রয়েলে হাটতেন।
৪.উডচেস্টার ম্যানশন
colour borley ruins
ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারে অবস্থিত উডচেস্টার ম্যানশনটির ভৌতিক বাড়ি হিসেবে খ্যাতি আছে।
দালানটির নির্মান কাজ শেষ হয়নি। গত ২০০ বছর আগে এটির কাজ করা হয়েছিল শেষ বারেব মত। গুজব আছে এখানে যারা কাজ করতে আসে তারা অনাক্ষাঙ্কিতভাবে মারা যায়। অদ্ভুত নাকের শব্দ পাওয়া যায়, নির্মান কাজের শব্দের মত শব্দ পাওয়া যায়, রোমান সৈন্য এবং যুবতী মেয়েদের দেখতে পাওয়া যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
৫.প্যারিসের কাটাকম্ব
Woodchester Mansion (1)
প্যারিসের কাটাকম্ব ফ্রান্সের প্যারিসের একটি আণ্ডারগ্রাউন্ড অসারি (যেখানে মরা মানুষের মাথার খুলি, কঙ্কাল রাখা হয় )।

১৭০০ সালের মাঝা মাঝি এটি নির্মান করা হয় । যারা ৩০ কমপক্ষে ৩০ বছর  আগে মারা গেছে তাদের খুলি এখানে সংরক্ষন করা হয়, এখানকার খুলি, হাড়গুলো রাতের বেলা নিজে নিজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার যাতায়ার করে বলে কথিত আছে।
৬. দি স্কিরিড ইন!
Haunted Skirrid Rope
কুখ্যাত ভৌতিক স্থান গুলোর একটি হল ইংল্যান্ডের ওয়ালেস স্টেটের Llanfihangel Crucorney তে অবস্থিত Skirrid Mountain Inn।  লোক গল্প মতে- ৯০০ বছর আগে এখানে ১৮০ জনেরও বেশি লোক সিঁড়ির বীমের সাথে ফাঁসি দেওয়া হয়। তখন ভবনের প্রথম তলা কোর্ট রুম হিসেবে ব্যবহার হত। এই ঘটনার পরে হঠাত একদিন দেখতে পায় একটা গ্লাস উড়ছে! লোকজন দেখতে পেত জানালায় তারা তাদের ঘাড়ে ফাঁস বানাচ্ছে! ঠান্ডা কক্ষগুলো হঠাত করে গরম হয়ে উঠতো! এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকতো। এসব এর পর ফেনি প্রাইস(দালানটির  মালিক) চিন্তা করলেন এখানে অনেক সক্রিয় আত্মা রয়েছে, অন্য সকল লোকজন এটাকে বিপদজনক স্থান হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন এখানে থাকা অনেক ঝুঁকিপূর্ন।
৭ রোজ হল
Rose Hall Jamaica
জ্যামাইকার মন্টেগো বে এর রোজ হল একটি ভৌতিক স্থান । এখানে Annie Palmer নামে এক মেয়ের আত্মা বাস করে।  তার শাসনামলের ১১ বছরে তাঁকে তার বেডে অত্যাচার করে খুন করা হয়। তিনি তার ৩ স্বামীকে এবং এক ভৃত্যকে বিষ প্রয়োগ করে, যাদু দিয়ে মেরে ফেলেন এবং অন্যান্য ভৃত্যদেরকে চাপ প্রয়োগ করেন লাশ সমুদ্রের পাড়ে সমাহিত করতে।এর সূত্র ধরে পরবর্তীতে তাঁকে মেরে ফেলা হয়।  লিজেন্ডের মতে- এই হলে শুধু নির্যাতিত অ্যানি নয় দাসদের শিশুদের আত্মাও ঘুরাঘুরি করে। এখানে রাত কাটানো সুখকর নয়।
৮ বেল ফার্ম
Rose Hall Jamaica
বেল ফার্ম হন্টিং হিসেবে স্বীকৃত। ১৮১৭ থেকে ১৮২১ সালে একজন মহিলা বেল পরিবারে প্রবেশ করে যার নাম কেট এবং সে জন বেল এবং তার পরিবারকে অত্যাচার করে । এক পর্যায়ে বেল একটি স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধিতে আক্রান্ত হন, কেটের এন্টিক তার অবস্থা আরো খারাপ করে তুলে। এবং মারা যায়। তার মৃত্যু শয্যার পাশে একটি কালো তরলের শিশি পাওয়া যায়। প্যারানরমাল বিশেষজ্ঞরা যখন কেটকে প্রশ্ন করেন শিশিটা কিসের, তখন তিনি বলেন এটা বেলকে দেওয়া হয়েছিল। শিশিটির তরলগুলো যখন তার ঘরের বিড়ালকে দেওয়া হয় তৎক্ষণাৎ বিড়ালটি মারা যায়, অর্থাৎ কেট বেলকে হত্যা করেছেন, এখনো সেই ভবনের আশে পাশে বেলের আত্মা আছে বলে মনে করেন অনেকে এবং সেটাই বিভিন্ন বিপদ ঘটায়।
৯ এডিনবার্ঘ কেসল
Rose Hall Jamaica
স্কটল্যান্ডের অধিক হন্টেড জায়গা হিসেবে এডিনবার্ঘ কেসল অনেক পরিচিত। এটি একটি ঐতিহাসিক দূর্গ। এটি ৯০০ বছর পুরনো দূর্গ। এটার প্রাচীন অন্ধকূপ, যেখানে অগণিত মৃত্যুহার। অগনিত প্রেত্মাতার জন্য একটি শাশ্বত স্থান । এডিনবার্ঘ নিজে বলেন এটি ইউরোপের সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা। বিভিন্ন উপলক্ষে দর্শনাথীরা যখন যেত তখন তারা দেখতে পেয়েছিলেন ভৌতিক বাশিওয়ালা,  মুণ্ডহীন ঢোলবাদক, ফ্রান্সের এই জেল আসামীর আত্মা, কুকুরের আত্মা এবং আরো অনেক কিছু।
১১ ভানগার
Rose Hall Jamaica
ভারতের মধ্যেও ভূত অনেক পরিচিত। ভারতের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ভৌতিক স্থান ভানগার দূর্গ। স্থানীয় লোকজনই এই জায়গার নামকরণ করেন। এই এলাকার চারপাশে একটি প্রসস্থ বার্থ রয়েছে। এলাকাটি এবং শহরকে নিয়ে কিছু জনপ্রিয় ভূতুড়ে গল্প রয়েছে। কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদেরকে সন্ধার পর ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবশেষ দেখতে অনুমতি প্রদান করেন না । কথিত আছে এক রাজকুমারী একজন জাদুকর থেকে ঘৃণাভরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন বলে তিনি এই এলাকাটা ধ্বংস করে দেন জাদুকরটি। ১৭০০ শতাব্দীতে এটি আবার ধ্বংস হয় আর্মিদের মাধ্যমে। এই এলাকায় যাদুকরের আত্মা এখনো থাকে বলে রাতে কোন পাখি বা কোন পশু ডাকেনা, সবাই চুপচাপ থাকে বলে কথিত আছে। আজ পর্যন্ত কোন ব্যক্তি ওখানে রাত কাটানোর সাহস দেখায়নি।
8:37 PM Saiful
http://10-most.com/wp-content/uploads/2012/10/alone-lonely-haunted-place.jpg
জীন-ভূতের ভয় সবাই করে। এমন কায়কে পাওয়া যাবে না যে জীবনে ভয় পায়নি!
কখনো এমন জায়গায় গিয়েছেন যেখানে গেলে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায়, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে? অথবা ভয়ে আপনি থর থর করে কাঁপছেন! গ্রাম্য এলাকার বাঁশ বাগান, বেত বাগান, ঝোপ-ঝাড়, পুরোনো বাড়ি গুলোতে একা একা রাতের অন্ধকারে হাঁটলে এরকম অনুভুতি হতে পারে।
 আমাদের বাড়ির পিছনে বাঁশের, বেতের, গাছগাছালির অনেক ঝোপঝাড়। ওখানে জীন- ভুত থাকে এরকম অনেক গল্প মুরব্বীদের কাছ থেকে অনেক শুনেছি। তার সাথে থাকে সন্ধ্যার পর থেকে শেয়ালের হাঁক, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, পেঁচার ডাক আরো কত কি!পুরাই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। সন্ধ্যা হওয়ার পরে ওখানে কেউ যাওয়া দূরে থাক, চোখ দিতেও ভয় লাগে! ভাগ্যিস বিদ্যুৎ থাকে তা না হলে আরো ভয়ঙ্কর লাগতো!এই তো গেলো আমাদের বাড়ির আঙ্গিনা। পৃথিবীতে এরকম অনেক বিখ্যাত ভয়ঙ্কর জায়গা রয়েছে, তার মধ্য থেকে ১০ টি বেছে নিয়ে সেগুলোর  কিছু বর্ননা নিচে তুলে ধরলাম-
১. বোরলে রেকটরি
colour borley ruins
বোরলে রেকটরি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা হিসেবে পরিচিত। এটি যুক্তরাজ্যের বোরলে গ্রামে অবস্থিত। ১৮৬৩ সালে Reverend Henry Dawson Ellis Bull এর জন্য এটি নির্মান করা হয়।
এখানে নুন কে হাটতে দেখা যায় যাকে প্রেট্রল মেরে মেরে ফেলা হয়েছিল। পুরোনো একটি গল্প প্রচলিত আছে যে নুন বোরলে সম্প্রদায়ের এক সন্ন্যাসীনীর প্রেমে পড়েন। দুজনে চেয়েছিলেন পালিয়ে যেতে কিন্তু ধরা পড়ে যায়।  সন্ন্যাসীনীকে বধ করা হয় আর নুনকে পুড়িয়ে মারা হয় এই ভবনে।
২.স্ট্যানলি হোটেল
colour borley ruins
সারা পৃথিবীতে ভূতের অসংখ্য গল্প রয়েছে।  স্টিফেন কিং এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত The Shining  হরর মুভি দেখলে বুঝা যায় । বইটি লেখার ক্ষেত্রে তাঁকে অনুপ্রানিত করেছিল স্ট্যানলি হোটেল যেটি কলোরাডোর এস্টেস পার্কে অবস্থিত। তিনি যখন এই হোটেলের ২১৭ নাম্বার রুমে অবস্থান করেন তখন নিজেই অনেক ভৌতিক ঘটনা দেখেন। তিনি শুনতে পেতেন ভূতের ছেলেরা পাশের রুমে খেলা করছে! অনেক আত্মা ওখানে ঘুরে বেড়াতো। যখন গেস্ট আসতো তারা দেখতে পেত পিয়ানোর কীগুলো নিজে নিজে মুভ হচ্ছে, মিউজিক বাজছে। এই সকল ভৌতিক ঘটনা যারা দেখতো তাদের জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
৩. টাওয়ার অব লন্ডন
colour borley ruins
ছবিটি অনেক বিখ্যাত ভৌতিক স্থান টাওয়ার অব লন্ডন এর। ১৫৩৬ সালে হেনরি VIII এর একজন স্ত্রীকে এই টাওয়ারে শিরচ্ছেদ করা হয়। ঐ স্ত্রীলোকের আত্মাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত, মাঝে মাঝে তিনি তার খণ্ডিত মাথা হাতে নিয়ে টাওয়ার গ্রীন এবং টাওয়ার চাপেল রয়েলে হাটতেন।
৪.উডচেস্টার ম্যানশন
colour borley ruins
ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারে অবস্থিত উডচেস্টার ম্যানশনটির ভৌতিক বাড়ি হিসেবে খ্যাতি আছে।
দালানটির নির্মান কাজ শেষ হয়নি। গত ২০০ বছর আগে এটির কাজ করা হয়েছিল শেষ বারেব মত। গুজব আছে এখানে যারা কাজ করতে আসে তারা অনাক্ষাঙ্কিতভাবে মারা যায়। অদ্ভুত নাকের শব্দ পাওয়া যায়, নির্মান কাজের শব্দের মত শব্দ পাওয়া যায়, রোমান সৈন্য এবং যুবতী মেয়েদের দেখতে পাওয়া যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
৫.প্যারিসের কাটাকম্ব
Woodchester Mansion (1)
প্যারিসের কাটাকম্ব ফ্রান্সের প্যারিসের একটি আণ্ডারগ্রাউন্ড অসারি (যেখানে মরা মানুষের মাথার খুলি, কঙ্কাল রাখা হয় )।

১৭০০ সালের মাঝা মাঝি এটি নির্মান করা হয় । যারা ৩০ কমপক্ষে ৩০ বছর  আগে মারা গেছে তাদের খুলি এখানে সংরক্ষন করা হয়, এখানকার খুলি, হাড়গুলো রাতের বেলা নিজে নিজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার যাতায়ার করে বলে কথিত আছে।
৬. দি স্কিরিড ইন!
Haunted Skirrid Rope
কুখ্যাত ভৌতিক স্থান গুলোর একটি হল ইংল্যান্ডের ওয়ালেস স্টেটের Llanfihangel Crucorney তে অবস্থিত Skirrid Mountain Inn।  লোক গল্প মতে- ৯০০ বছর আগে এখানে ১৮০ জনেরও বেশি লোক সিঁড়ির বীমের সাথে ফাঁসি দেওয়া হয়। তখন ভবনের প্রথম তলা কোর্ট রুম হিসেবে ব্যবহার হত। এই ঘটনার পরে হঠাত একদিন দেখতে পায় একটা গ্লাস উড়ছে! লোকজন দেখতে পেত জানালায় তারা তাদের ঘাড়ে ফাঁস বানাচ্ছে! ঠান্ডা কক্ষগুলো হঠাত করে গরম হয়ে উঠতো! এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকতো। এসব এর পর ফেনি প্রাইস(দালানটির  মালিক) চিন্তা করলেন এখানে অনেক সক্রিয় আত্মা রয়েছে, অন্য সকল লোকজন এটাকে বিপদজনক স্থান হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন এখানে থাকা অনেক ঝুঁকিপূর্ন।
৭ রোজ হল
Rose Hall Jamaica
জ্যামাইকার মন্টেগো বে এর রোজ হল একটি ভৌতিক স্থান । এখানে Annie Palmer নামে এক মেয়ের আত্মা বাস করে।  তার শাসনামলের ১১ বছরে তাঁকে তার বেডে অত্যাচার করে খুন করা হয়। তিনি তার ৩ স্বামীকে এবং এক ভৃত্যকে বিষ প্রয়োগ করে, যাদু দিয়ে মেরে ফেলেন এবং অন্যান্য ভৃত্যদেরকে চাপ প্রয়োগ করেন লাশ সমুদ্রের পাড়ে সমাহিত করতে।এর সূত্র ধরে পরবর্তীতে তাঁকে মেরে ফেলা হয়।  লিজেন্ডের মতে- এই হলে শুধু নির্যাতিত অ্যানি নয় দাসদের শিশুদের আত্মাও ঘুরাঘুরি করে। এখানে রাত কাটানো সুখকর নয়।
৮ বেল ফার্ম
Rose Hall Jamaica
বেল ফার্ম হন্টিং হিসেবে স্বীকৃত। ১৮১৭ থেকে ১৮২১ সালে একজন মহিলা বেল পরিবারে প্রবেশ করে যার নাম কেট এবং সে জন বেল এবং তার পরিবারকে অত্যাচার করে । এক পর্যায়ে বেল একটি স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধিতে আক্রান্ত হন, কেটের এন্টিক তার অবস্থা আরো খারাপ করে তুলে। এবং মারা যায়। তার মৃত্যু শয্যার পাশে একটি কালো তরলের শিশি পাওয়া যায়। প্যারানরমাল বিশেষজ্ঞরা যখন কেটকে প্রশ্ন করেন শিশিটা কিসের, তখন তিনি বলেন এটা বেলকে দেওয়া হয়েছিল। শিশিটির তরলগুলো যখন তার ঘরের বিড়ালকে দেওয়া হয় তৎক্ষণাৎ বিড়ালটি মারা যায়, অর্থাৎ কেট বেলকে হত্যা করেছেন, এখনো সেই ভবনের আশে পাশে বেলের আত্মা আছে বলে মনে করেন অনেকে এবং সেটাই বিভিন্ন বিপদ ঘটায়।
৯ এডিনবার্ঘ কেসল
Rose Hall Jamaica
স্কটল্যান্ডের অধিক হন্টেড জায়গা হিসেবে এডিনবার্ঘ কেসল অনেক পরিচিত। এটি একটি ঐতিহাসিক দূর্গ। এটি ৯০০ বছর পুরনো দূর্গ। এটার প্রাচীন অন্ধকূপ, যেখানে অগণিত মৃত্যুহার। অগনিত প্রেত্মাতার জন্য একটি শাশ্বত স্থান । এডিনবার্ঘ নিজে বলেন এটি ইউরোপের সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা। বিভিন্ন উপলক্ষে দর্শনাথীরা যখন যেত তখন তারা দেখতে পেয়েছিলেন ভৌতিক বাশিওয়ালা,  মুণ্ডহীন ঢোলবাদক, ফ্রান্সের এই জেল আসামীর আত্মা, কুকুরের আত্মা এবং আরো অনেক কিছু।
১১ ভানগার
Rose Hall Jamaica
ভারতের মধ্যেও ভূত অনেক পরিচিত। ভারতের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ভৌতিক স্থান ভানগার দূর্গ। স্থানীয় লোকজনই এই জায়গার নামকরণ করেন। এই এলাকার চারপাশে একটি প্রসস্থ বার্থ রয়েছে। এলাকাটি এবং শহরকে নিয়ে কিছু জনপ্রিয় ভূতুড়ে গল্প রয়েছে। কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদেরকে সন্ধার পর ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবশেষ দেখতে অনুমতি প্রদান করেন না । কথিত আছে এক রাজকুমারী একজন জাদুকর থেকে ঘৃণাভরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন বলে তিনি এই এলাকাটা ধ্বংস করে দেন জাদুকরটি। ১৭০০ শতাব্দীতে এটি আবার ধ্বংস হয় আর্মিদের মাধ্যমে। এই এলাকায় যাদুকরের আত্মা এখনো থাকে বলে রাতে কোন পাখি বা কোন পশু ডাকেনা, সবাই চুপচাপ থাকে বলে কথিত আছে। আজ পর্যন্ত কোন ব্যক্তি ওখানে রাত কাটানোর সাহস দেখায়নি।

মহাসমুদ্রের মৎসকন্যা বা সাইরেন(মারমেইড) ছিল গ্রিকপুরাণের মায়াবিনী গায়িকা। সুরের মায়াজাল সৃষ্টির মাধ্যমে তারা জাহাজের যাত্রীদের মৃত্যুর দিকে আকর্ষণ করতো। তাদের গানের গলা এতই চমৎকার ছিল যে সেই গান নাবিকদের কানে পৌঁছালে নাবিকরা সেই দ্বীপের দিকেই ধাবমান হতো। ফলে সেই জাহাজ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে মৃত্যুবরণ করত সবাই। সাইরেন ছিল নদীদেবতা একিলেপাসের কন্যা। হোমারের ওডিসিতে সাইরেনদের ঊর্দ্ধাংশ মানবী এবং নিম্নাংশ পাখির মত দেখতে বলা হয়েছে।

ওডিসি অনুসারে সাইরেন


কিন্তু অন্যান্য সূত্রে সাইরেনদের দেহের ঊর্দ্ধাংশ মানবী এবং নিম্নাংশ মাছের মত বলে জানা যায়। সাইরেনিয়া নামক একটি দ্বীপে ছিল সাইরেনদের বাস।

আর্গোনটরা ( সোনালী ভেড়ার চামড়া সংগ্রহ অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের দল ) একবার সাইরেনদের দ্বীপ অতিক্রম করতে যাচ্ছিল। তাদের পরিণতির কথা ভেবে দেবী আফ্রোদিতি অর্ফিউসকে সাইরেনদের দ্বীপ অতিক্রমনের সময় তাঁর বীনায় মোহময় সুর সৃষ্টি করতে নির্দেশ দেন। অর্ফিউস ছিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব সুর স্রষ্টা।

দেবতাদের পর মরণশীলদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম সুরের জাদুকর এই অর্ফিউস। সে এক বিশেষ ধরনের বাশি বাজাত, যেটার নাম ছিল লাইর। দেবতা হারমিসের তৈরি এ বাশি পূর্ণতা পেয়েছে অর্ফিউসের কাছে। অর্ফিউস ছিল দেবতা অ্যাপোলোর পুত্র। অর্ফিউসের মা ছিল ক্যালিউপ। অর্ফিউসের বাস ছিল পিম্পলিয়ায় , যেখানে সে তার শৈশব মা এবং বোনদের সাথে কাটিয়েছে। দেবতা অ্যাপোলো অর্ফিউসকে খুব ভালবাসতেন এবং তিনিই প্রথম অর্ফিউসকে লাইর বাজানো শেখান।

জেসন ছিল আর্গোনট দলের নেতা। জেসনের দল যখন সাইরেনিয়া দ্বীপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো , তখন অর্ফিউস তার বাঁশি বাজানো শুরু করলো । তার সুর সাইরেনদের সুরকে ছাপিয়ে গেলো । নাবিকরা নিরাপদে দ্বীপ পার হতে পারলো ।কিন্তু একজন আর্গোনট জাহাজের পাল ওড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় তার কানে অর্ফিউসের সুর প্রবেশে ব্যর্থ হয়। ফলে সে উন্মাদের মতো জাহাজ থেকে লাফিয়ে সাগরে পড়ে যায়। আফ্রোদিতি অবশ্য পরে তাকেও ঊদ্ধার করেন।


ট্রয়যুদ্ধ শেষে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথে মহাসমুদ্র দেবতা পোসিডনের ষড়যন্ত্রে দিকভ্রান্ত অডিসিউসও সাইরেনদের কবলে পড়েন। ফলে তিনি সাইরেনদের দ্বীপ অতিক্রম করার আগে প্রত্যেক নাবিকের কান মোম দিয়ে বন্ধ করে দেন এবং নিজেকে মাস্তুলের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

ফলে সাইরেনরা প্রথমবারের মতো ব্যর্থ হয়। ব্যর্থতার লজ্জায় তারা সমুদ্রে ডুবে আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর পর সাইরেনরা সমুদ্রশিলায় পরিণত হয়। এভাবেই গ্রীক পূরাণের একটি চমৎকার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।
8:33 PM Saiful

মহাসমুদ্রের মৎসকন্যা বা সাইরেন(মারমেইড) ছিল গ্রিকপুরাণের মায়াবিনী গায়িকা। সুরের মায়াজাল সৃষ্টির মাধ্যমে তারা জাহাজের যাত্রীদের মৃত্যুর দিকে আকর্ষণ করতো। তাদের গানের গলা এতই চমৎকার ছিল যে সেই গান নাবিকদের কানে পৌঁছালে নাবিকরা সেই দ্বীপের দিকেই ধাবমান হতো। ফলে সেই জাহাজ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে মৃত্যুবরণ করত সবাই। সাইরেন ছিল নদীদেবতা একিলেপাসের কন্যা। হোমারের ওডিসিতে সাইরেনদের ঊর্দ্ধাংশ মানবী এবং নিম্নাংশ পাখির মত দেখতে বলা হয়েছে।

ওডিসি অনুসারে সাইরেন


কিন্তু অন্যান্য সূত্রে সাইরেনদের দেহের ঊর্দ্ধাংশ মানবী এবং নিম্নাংশ মাছের মত বলে জানা যায়। সাইরেনিয়া নামক একটি দ্বীপে ছিল সাইরেনদের বাস।

আর্গোনটরা ( সোনালী ভেড়ার চামড়া সংগ্রহ অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের দল ) একবার সাইরেনদের দ্বীপ অতিক্রম করতে যাচ্ছিল। তাদের পরিণতির কথা ভেবে দেবী আফ্রোদিতি অর্ফিউসকে সাইরেনদের দ্বীপ অতিক্রমনের সময় তাঁর বীনায় মোহময় সুর সৃষ্টি করতে নির্দেশ দেন। অর্ফিউস ছিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব সুর স্রষ্টা।

দেবতাদের পর মরণশীলদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম সুরের জাদুকর এই অর্ফিউস। সে এক বিশেষ ধরনের বাশি বাজাত, যেটার নাম ছিল লাইর। দেবতা হারমিসের তৈরি এ বাশি পূর্ণতা পেয়েছে অর্ফিউসের কাছে। অর্ফিউস ছিল দেবতা অ্যাপোলোর পুত্র। অর্ফিউসের মা ছিল ক্যালিউপ। অর্ফিউসের বাস ছিল পিম্পলিয়ায় , যেখানে সে তার শৈশব মা এবং বোনদের সাথে কাটিয়েছে। দেবতা অ্যাপোলো অর্ফিউসকে খুব ভালবাসতেন এবং তিনিই প্রথম অর্ফিউসকে লাইর বাজানো শেখান।

জেসন ছিল আর্গোনট দলের নেতা। জেসনের দল যখন সাইরেনিয়া দ্বীপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো , তখন অর্ফিউস তার বাঁশি বাজানো শুরু করলো । তার সুর সাইরেনদের সুরকে ছাপিয়ে গেলো । নাবিকরা নিরাপদে দ্বীপ পার হতে পারলো ।কিন্তু একজন আর্গোনট জাহাজের পাল ওড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় তার কানে অর্ফিউসের সুর প্রবেশে ব্যর্থ হয়। ফলে সে উন্মাদের মতো জাহাজ থেকে লাফিয়ে সাগরে পড়ে যায়। আফ্রোদিতি অবশ্য পরে তাকেও ঊদ্ধার করেন।


ট্রয়যুদ্ধ শেষে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথে মহাসমুদ্র দেবতা পোসিডনের ষড়যন্ত্রে দিকভ্রান্ত অডিসিউসও সাইরেনদের কবলে পড়েন। ফলে তিনি সাইরেনদের দ্বীপ অতিক্রম করার আগে প্রত্যেক নাবিকের কান মোম দিয়ে বন্ধ করে দেন এবং নিজেকে মাস্তুলের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

ফলে সাইরেনরা প্রথমবারের মতো ব্যর্থ হয়। ব্যর্থতার লজ্জায় তারা সমুদ্রে ডুবে আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর পর সাইরেনরা সমুদ্রশিলায় পরিণত হয়। এভাবেই গ্রীক পূরাণের একটি চমৎকার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।
http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2013March/ceo-bg20130504062724.jpg
গত কদশক ধরেই প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে চলছে বিপ্লব। এ ধারাতেই প্রযুক্তি বিশ্বের উদ্যোক্তারা হয়ে উঠছেন সেলিব্রিটি। টিভির পর্দায়, পত্রিকার পাতায় এখন শুধু তাদেরই ছবি উঠে আসছে। উঠে আসে তাদের নানান সাফল্যকথা।
বিশ্বের তরুণেরা এখন আর নায়ক নায়িকাদের খোঁজ খুব একটা রাখে না। রাখে মার্ক জুকারবার্গ, টিম ‍কুক এবং স্টিভ
9:27 AM Saiful
http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2013March/ceo-bg20130504062724.jpg
গত কদশক ধরেই প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে চলছে বিপ্লব। এ ধারাতেই প্রযুক্তি বিশ্বের উদ্যোক্তারা হয়ে উঠছেন সেলিব্রিটি। টিভির পর্দায়, পত্রিকার পাতায় এখন শুধু তাদেরই ছবি উঠে আসছে। উঠে আসে তাদের নানান সাফল্যকথা।
বিশ্বের তরুণেরা এখন আর নায়ক নায়িকাদের খোঁজ খুব একটা রাখে না। রাখে মার্ক জুকারবার্গ, টিম ‍কুক এবং স্টিভ
ফরচুনে সেরা নারী নির্বাহী হোয়াইটম্যান

ফরচুনের চোখে সেরা নারী প্রধান নির্বাহীদের তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন মেগ হোয়াইটম্যান। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিউলেট-প্যাকার্ডের (এইচপি) প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত আছেন।

হোয়াইটম্যানের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৫৪ সালের ৪ আগস্ট। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী হোয়াইটম্যান কোল্ড স্প্রিং হার্বার হাই স্কুলে সবসময় সেরাদের তালিকায় ছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন চিকিৎসা পেশায় এসে মানুষের সেবা করবেন।

সে লক্ষ্যেই ছোটবেলা থেকেই গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি তীব্র আগ্রহ অনুভব করতেন। তবে বড় হয়ে চিন্তার গতি বদলে গেলো। তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে গণিত বিভাগে পড়া শুরু করলেন। কিন্তু এক বছর না যেতেই গণিতের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। চলে গেলেন ইকনোমিক্স বিভাগে। এই বিষয়েই ১৯৭৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে। নিজের যোগ্যতায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন।

হোয়াইটম্যানের জীবনের মোড় ঘুরে যায় বেচা-কেনার জনপ্রিয় অনলাইন শপ ইবে-তে যোগ দিয়ে। মাত্র ৩০ জনের দল নিয়ে তখন ইবে এগিয়ে যাচ্ছে। ছোট্ট প্রতিষ্ঠান। সে প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন হোয়াইম্যান। দশ বছরে এর জনপ্রিয়তা অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে যান। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইবে’র জনবল হয় ১ হাজার ৫০০ এবং লাভ করে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ সফলতার কারণ হিসেবে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি এসেই দক্ষ জনবল গড়ে তোলার চেষ্টা করি। নেতৃত্ব বের করে আনার প্রয়াসও ছিল। সে লক্ষ্যেই ৩৫ হাজার সাব-ক্যাটাগরি দল তৈরি করি। প্রত্যেকটি ক্যাটাগরির একজন করে নেতা ছিল। তাদের নেতৃত্বে প্রতিটি দল এগিয়ে যাচ্ছিল। এতে করে প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়। প্রতিটি দল নিজেদের যোগ্য প্রমাণের চেষ্টা করে। যার ফলাফল স্বরূপ প্রতিষ্ঠান লাভ করতে শুরু করে।

ইবে’র ভেতরের কোন্দলের জের ধরে ২০০৭ সালেই পদত্যাগ পত্র জমা দেন হোয়াইটম্যান। তবে বোর্ড তার পদত্যাগ পত্র সে বছর গ্রহণ করেনি। শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালে এসে হোয়াইম্যান বলেন, আমি মনে করি একটি প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর প্রধানের পদে কাজ করার পর নতুন কিছু করার থাকে না। নতুন কিছু করতে হলে প্রয়োজন নতুন নেতৃত্ব।

তার এ বক্তব্যের পর ২০০৮ সালে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়।

হোয়াইটম্যান জনপ্রিয় এইচপি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন ২০১১ সালে। জানুয়ারির শুরুতে যোগ দিলেও তখনও প্রধান নির্বাহী পদে তিনি ছিলেন না। কয়েকমাস যেতেই সেপ্টেম্বরে হোয়াইম্যানকে হিউলেট-প্যাকার্ডের নতুন প্রধান নির্বাহী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রধানের পদে বসেই এইচপির গবেষণা দলের দিকেই বেশি মনোযোগ দেন হোয়াইটম্যান। তার মতে, প্রতিটি কাজ গবেষণার পরই করা উচিত।

তখন ডেস্কটপ কম্পিউটার বাজার হারাতে শুরু করে। ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের কাছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মার খেতে থাকে। ঠিক সে সময় হোয়াইটম্যান দায়িত্ব পেয়ে কিছুটা হিমশিম খেতে থাকেন। কিন্তু ব্যবসায়ীক বুদ্ধিমত্তায় তিনি এখনও এইচপিকে বাজারে সফলভাবে টিকিয়ে রেখেছেন। ঠান্ডা মাথার হোয়াইটম্যান এখনও বাজারে দাপটের সঙ্গে টিকিয়ে রেখেছেন এইচপিকে।

এইচপি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৮ সালে। শুরু থেকেই প্রযুক্তিবাজারে অত্যন্ত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু মাঝ পথে বিপর্যয়ের শিকার হলেও হোয়াইটম্যানের দক্ষতায় পুরানো দাপট ফিরে পেয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এজন্যই প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফরচুনের সেরা নারী নির্বাহীদের তালিকায় উচ্চ অবস্থানে আছেন মেগ হোয়াইটম্যান।
9:18 AM Saiful
ফরচুনে সেরা নারী নির্বাহী হোয়াইটম্যান

ফরচুনের চোখে সেরা নারী প্রধান নির্বাহীদের তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন মেগ হোয়াইটম্যান। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিউলেট-প্যাকার্ডের (এইচপি) প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত আছেন।

হোয়াইটম্যানের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৫৪ সালের ৪ আগস্ট। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী হোয়াইটম্যান কোল্ড স্প্রিং হার্বার হাই স্কুলে সবসময় সেরাদের তালিকায় ছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন চিকিৎসা পেশায় এসে মানুষের সেবা করবেন।

সে লক্ষ্যেই ছোটবেলা থেকেই গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি তীব্র আগ্রহ অনুভব করতেন। তবে বড় হয়ে চিন্তার গতি বদলে গেলো। তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে গণিত বিভাগে পড়া শুরু করলেন। কিন্তু এক বছর না যেতেই গণিতের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। চলে গেলেন ইকনোমিক্স বিভাগে। এই বিষয়েই ১৯৭৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে। নিজের যোগ্যতায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন।

হোয়াইটম্যানের জীবনের মোড় ঘুরে যায় বেচা-কেনার জনপ্রিয় অনলাইন শপ ইবে-তে যোগ দিয়ে। মাত্র ৩০ জনের দল নিয়ে তখন ইবে এগিয়ে যাচ্ছে। ছোট্ট প্রতিষ্ঠান। সে প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন হোয়াইম্যান। দশ বছরে এর জনপ্রিয়তা অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে যান। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইবে’র জনবল হয় ১ হাজার ৫০০ এবং লাভ করে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ সফলতার কারণ হিসেবে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি এসেই দক্ষ জনবল গড়ে তোলার চেষ্টা করি। নেতৃত্ব বের করে আনার প্রয়াসও ছিল। সে লক্ষ্যেই ৩৫ হাজার সাব-ক্যাটাগরি দল তৈরি করি। প্রত্যেকটি ক্যাটাগরির একজন করে নেতা ছিল। তাদের নেতৃত্বে প্রতিটি দল এগিয়ে যাচ্ছিল। এতে করে প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়। প্রতিটি দল নিজেদের যোগ্য প্রমাণের চেষ্টা করে। যার ফলাফল স্বরূপ প্রতিষ্ঠান লাভ করতে শুরু করে।

ইবে’র ভেতরের কোন্দলের জের ধরে ২০০৭ সালেই পদত্যাগ পত্র জমা দেন হোয়াইটম্যান। তবে বোর্ড তার পদত্যাগ পত্র সে বছর গ্রহণ করেনি। শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালে এসে হোয়াইম্যান বলেন, আমি মনে করি একটি প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর প্রধানের পদে কাজ করার পর নতুন কিছু করার থাকে না। নতুন কিছু করতে হলে প্রয়োজন নতুন নেতৃত্ব।

তার এ বক্তব্যের পর ২০০৮ সালে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়।

হোয়াইটম্যান জনপ্রিয় এইচপি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন ২০১১ সালে। জানুয়ারির শুরুতে যোগ দিলেও তখনও প্রধান নির্বাহী পদে তিনি ছিলেন না। কয়েকমাস যেতেই সেপ্টেম্বরে হোয়াইম্যানকে হিউলেট-প্যাকার্ডের নতুন প্রধান নির্বাহী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রধানের পদে বসেই এইচপির গবেষণা দলের দিকেই বেশি মনোযোগ দেন হোয়াইটম্যান। তার মতে, প্রতিটি কাজ গবেষণার পরই করা উচিত।

তখন ডেস্কটপ কম্পিউটার বাজার হারাতে শুরু করে। ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের কাছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মার খেতে থাকে। ঠিক সে সময় হোয়াইটম্যান দায়িত্ব পেয়ে কিছুটা হিমশিম খেতে থাকেন। কিন্তু ব্যবসায়ীক বুদ্ধিমত্তায় তিনি এখনও এইচপিকে বাজারে সফলভাবে টিকিয়ে রেখেছেন। ঠান্ডা মাথার হোয়াইটম্যান এখনও বাজারে দাপটের সঙ্গে টিকিয়ে রেখেছেন এইচপিকে।

এইচপি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৮ সালে। শুরু থেকেই প্রযুক্তিবাজারে অত্যন্ত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু মাঝ পথে বিপর্যয়ের শিকার হলেও হোয়াইটম্যানের দক্ষতায় পুরানো দাপট ফিরে পেয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এজন্যই প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফরচুনের সেরা নারী নির্বাহীদের তালিকায় উচ্চ অবস্থানে আছেন মেগ হোয়াইটম্যান।